বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন? 
গায়েবি মামলার রিটের শুনানী ২০ নভেম্বর

গায়েবি মামলার রিটের শুনানী ২০ নভেম্বর

ডেস্ক রিপোর্টঃ আজ সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা  গায়েবি’ মামলা নিয়ে করা রিট শুনানির জন্য হাইকোর্টের একক বেঞ্চ  আগামী ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন।

আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চ রিটকারীদের পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। রিটকারীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা আজ আদালতে সময় আবেদন করেন। অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন (মানিক) রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন (মানিক) বলেন তিনি বলেন, আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য ছিল। রিটকারীদের পক্ষে ড. কামাল হোসেন শুনানি করবেন এ গ্রাউন্ডে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা দুই সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ২০ নভেম্বর ২টার সময় শুনানির জন্য ধার্য করেন

এ রিটের ওপর গত গত ৯ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি দ্বৈতবেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন।ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করলেও অপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিট খারিজ করে আদেশ দেন।

এরপর নিয়ম অনুসারে প্রধান বিচারপতির কাছে   রিটটি পাঠানো হয়। পরে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চে নির্ধারণ করে দেন

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ওই দিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন  এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল হক টুটুল।

২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লা মিয়া এ রিট দায়ের করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট দায়েরের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে রিট আবেদনে  আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel